শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৫ অপরাহ্ন
সাইফ উল্লাহ, বিশেষ প্রতিবেদক (সুনামগঞ্জ):
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর থানাধীন বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল এক কিশোরী। শুক্রবার বিকেলে ইউনিয়নের গোলগাও গ্রামের মৃত জহুর আলী খোকা এর মেয়ে কিশোরী সেলিনা আক্তার (১৭)-কে পাশ্ববর্তী উপজেলা তাহিরপুর বাগলী গ্রামের যুবক আলমগীর (২৬)-এর কাছে বিবাহ বন্ধনের কার্যক্রম শুরু করা হয়। বিশেষ সূত্রে স্থানীয় সাংবাদিকরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কিশোরী অভিভাবক বড় ভাই মোস্তফা ও বকুলকে বাল্যবিবাহ কুফল ও সরকারের বিধি মান্য করে কিশোরীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়। বর পক্ষের লোকজনদের স্বাগত জানিয়ে কনের বাড়ির উঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়েছে। কিশোরীর ভাইদের বুঝানোর পর নিজ বোনের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত কোথাও থাকে বিয়ে দেবেন না বলে অঙ্গীকার করেন।
এ সময় কিশোরীর বাড়িতে থেকে বর যাত্রী লোকজন চলে যায়। বংশিকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. কুরবান আলী সাদু বলেন, সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় ১৭ বছরের কিশোরী বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে।
রবিবার সকালে কিশোরীর বড় ভাই মোস্তফা, বকুল ও রুবেল, জালাল, তোতামিয়াসহ পাশ্ববর্তী বাড়ীর সাইফুল ইসলামের স্ত্রী জেসমিন আক্তার শিল্পী (২৮)-কে বাড়ীতে গিয়ে লাঠিসোটা দিয়ে আক্রমণ করা হয় এবং ঘরের দরজা-জানালা ভেঙ্গে ফেলে এমনকি প্রাণনাশের হুমকি প্রাদান করে শিল্পীকে। কনের আত্মীয়রা মনে করে ওই বাল্য বিবাহটি শিল্পী বন্ধ করেছে।
শিল্পী প্রতিবেদককে জানান, বিবাহ বন্ধ করার ক্ষমতা আমার নেই, কে বিবাহ বন্ধ করেছে তা আমার জানা নেই। সন্দেহ বশত: আমাকে ওরা আক্রমণ করে বাড়িঘর ভেঙ্গে ফেলেছে। শিল্পী বাদী হয়ে মধ্যনগর থানায় অভিযোগ দাখিল করেন।
এ ব্যাপারে মধ্যনগর থানায় ওসি সেলিম নেওয়াজ জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।